হৃদয়ের টানে ছুটে চলি আমরা......

রামায়ণ

25/01/2011 01:25

রামায়ণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
 
অন্যান্য ব্যবহারের জন্য দেখুন রামায়ণ (দ্ব্যর্থতানিরসন)

হিন্দুশাস্ত্র
Valmiki Ramayana.jpg

ঋগ্বেদ • সামবেদ • যজুর্বেদ • অথর্ববেদ
বিভাগসমূহ
সংহিতা • ব্রাহ্মণ • আরণ্যক • উপনিষদ

ঐতরেয় • বৃহদারণ্যক • ঈশা • তৈত্তিরীয় • ছান্দগ্যো • কেন • মৈত্রী • মুণ্ডক • মাণ্ডুক্য • কঠ • কৌষীতকি • প্রশ্ন • শ্বেতাশ্বেতর

শিক্ষা • ছন্দ • ব্যাকরণ • নিরুক্ত • জ্যোতিষ • কল্প

মহাভারত • রামায়ণ

স্মৃতি • শ্রুতি • ভগবদ্গীতা • পুরাণ • দেবীমাহাত্ম্যম্ • মনুস্মৃতি • আগম • দর্শন • পঞ্চরাত্র • তন্ত্র • আকিলাতিরাত্তু আম্মানাই • সূত্র • স্তোস্ত্র • ধর্মশাস্ত্র • দিব্যপ্রবন্ধ • তেভরম • রামচরিতমানস • শিক্ষাপত্রী • বচনামৃত • আনন্দসূত্রম


রামায়ণ (দেবনাগরী: रामायण) একটি প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্যহিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, ঋষি বাল্মীকি রামায়ণের রচয়িতা। এই গ্রন্থটি হিন্দুশাস্ত্রের স্মৃতি বর্গের অন্তর্গত। রামায়ণ ও মহাভারত ভারতের দুটি প্রধান মহাকাব্য।[১] এই কাব্যে বিভিন্ন সম্পর্কের পারস্পরিক কর্তব্য বর্ণনার পাশাপাশি আদর্শ ভৃত্য, আদর্শ ভ্রাতা, আদর্শ স্ত্রী ও আদর্শ রাজার চরিত্র চিত্রণের মাধ্যমে মানবসমাজের আদর্শ ব্যাখ্যাত হয়েছে।

রামায়ণ নামটি রামঅয়ন শব্দদুটি নিয়ে গঠিত একটি তৎপুরুষ সমাসবদ্ধ পদ; যার আক্ষরিক অর্থ রামের যাত্রা। রামায়ণ ৭টি কাণ্ড (পর্ব) ও ৫০০টি সর্গে বিভক্ত ২৪,০০০ শ্লোকের সমষ্টি।[২] এই কাব্যের মূল উপজীব্য হল বিষ্ণুর অবতার রামের উপাখ্যান; যাঁর স্ত্রী সীতাকে লঙ্কার রাক্ষসরাজা রাবণ অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিলেন। বিষয়গতভাবে, রামায়ণ-উপাখ্যানে বর্ণিত হয়েছে মানব অস্তিত্বের নানান দিক এবং প্রাচীন ভারতের ধর্মচেতনা[৩]

রামায়ণের শ্লোকগুলি ৩২-অক্ষরযুক্ত অনুষ্টুপ ছন্দে রচিত। পরবর্তীকালের সংস্কৃত কাব্য এবং ভারতীয় জীবন ও সংস্কৃতিতে এই কাব্যের প্রভাব অপরিসীম। মহাভারত মহাকাব্যের মতোই রামায়ণও একটি কাহিনিমাত্র নয়: হিন্দু ঋষিদের শিক্ষা দার্শনিক ও ভক্তি উপাদান সহ আখ্যানমূলক উপমার মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে এই মহাকাব্যে। ভারতের সংস্কৃতি চেতনার মৌলিক উপাদানগুলিই প্রতিফলিত হয়েছে রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, ভরত, হনুমান ও রাবণ চরিত্রগুলির মধ্যে।

হিন্দুধর্মের বাইরে ও বহির্ভারতেও রামায়ণের কয়েকটি পাঠান্তর প্রচলিত রয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখনীয় বৌদ্ধ রামায়ণ দশরথ জাতক (জাতক সংখ্যা ৬৪১) ও জৈন রামায়ণ এবং রামায়ণের থাই, লাও, ব্রহ্মদেশীয়মালয় সংস্করণ।

সূচিপত্র

[দেখাও]

[সম্পাদনা] পাঠ

লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, ভারতের আদিকবি বাল্মীকি রামায়ণ রচনা করেছিলেন।[৪] ভারতীয় সংস্কৃতিতে এই ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই যে রামের সমসাময়িক তথা এই মহাকাব্যের অন্যতম চরিত্র ঋষি বাল্মীকি স্বয়ং এই মহাকাব্য রচনা করেছিলেন।[৫] সংস্কৃত ভাষায় রচিত রামায়ণের মূল পাঠটি বাল্মীকি রামায়ণ নামে পরিচিত। এই গ্রন্থের রচনাকাল আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দী।[৬] হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, রামায়ণ-উপাখ্যানের পটভূমি ত্রেতাযুগ নামে পরিচিত পৌরাণিক সময়কাল।[৭]

বর্তমানে সুলভ বাল্মীকি রামায়ণের সংস্করণটি মোটামুটি ৫০,০০০ পঙক্তি সম্বলিত। কয়েক হাজার আংশিক ও সম্পূর্ণ পুথিতে এই পাঠটি বর্তমানে সংরক্ষিত। এই পুথিগুলি মধ্যে সর্বপ্রাচীন পুথিটি খ্রিষ্টীয় একাদশ শতাব্দীতে লিখিত হয়।[৮] মূল রামায়ণের একাধিক আঞ্চলিক পাঠান্তর[৬], সংস্করণ ও উপসংস্করণ বিদ্যমান। পুথিবিশারদ রবার্ট পি. গোল্ডম্যান এই সংস্করণগুলিকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা: (ক) উত্তর ভারতীয় ও (খ) দক্ষিণ ভারতীয়।[৮] এই সংস্করণগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তামিল ভাষায় কম্বন কর্তৃক রচিত রামাবতারম্ (খ্রিষ্টীয় একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দী), বাংলা ভাষায় কৃত্তিবাস ওঝা কর্তৃক রচিত শ্রীরামপাঁচালী বা কৃত্তিবাসী রামায়ণ (খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দী) এবং হিন্দি ভাষার অবধি উপভাষায় তুলসীদাস গোস্বামী কর্তৃক রচিত রামচরিতমানস (খ্রিষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দী)।[৬] রামায়ণ বিশেষজ্ঞ তথা ইংরেজিতে রামায়ণের পদ্যানুবাদক রমেশচন্দ্র দত্ত লিখেছেন, "মহাভারতের ন্যায় রামায়ণও বহু শতাব্দীর ফসল। কিন্তু নিঃসন্দেহে বলা যায়, এই কাব্যের মূল আখ্যানভাগটি একক ব্যক্তির মস্তিস্কপ্রসূত।"[৯]

অবশ্য বাল্মীকি রামায়ণের প্রথম ও শেষ কাণ্ডদুটি মূল রচয়িতা কর্তৃক রচিত কিনা সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। রঘুনাথন মনে করেন, এই দুই কাণ্ডের কয়েকটি প্রক্ষিপ্তাংশ বর্তমানে মূল রামায়ণের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করা হলেও, গ্রন্থের অন্যান্য অংশের সঙ্গে এই অংশগুলির শৈলীগত পার্থক্য এবং আখ্যানগত স্ববিরোধ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।[১০][১১]

[সম্পাদনা] রচনাকাল

বাল্মীকি রামায়ণের রচনাকাল আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দী।[৬] বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রমাণ (যেমন মহাভারতে সতীদাহ প্রথার উল্লেখ থাকলেও রামায়ণের মূল পাঠে তা নেই) থেকে অনুমিত হয় এই গ্রন্থ মহাভারতের পূর্বে রচিত হয়েছিল।[১২] হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, হিন্দু কালপঞ্জিতে উল্লিখিত যুগপর্যায়ের দ্বিতীয় যুগ ত্রেতায় এই মহাকাব্য রচিত হয়। কথিত আছে, ত্রেতা যুগেই ইক্ষ্বাকু বংশীয় রাজা দশরথের রামের জন্ম হয়।[১৩]

তবে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকেও রামায়ণকে প্রাচীনতর গ্রন্থ মনে করা হয়। রামায়ণে উল্লিখিত কয়েকটি চরিত্রনাম (যথা: রাম, সীতা, দশরথ, জনক, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র) বৈদিক সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য অংশ ব্রাহ্মণ-এও পাওয়া যায়। এই গ্রন্থটি বাল্মীকি রামায়ণ অপেক্ষাও প্রাচীন।[১৪] তবে প্রাপ্ত বৈদিক কাব্যসাহিত্যে কোথাও বাল্মীকির রামায়ণের অনুরূপ কোনো উপাখ্যানের সন্ধান পাওয়া যায় না।[১৫] আধুনিক গবেষকগণের মতে, রামায়ণের অন্যতম প্রধান চরিত্র ব্রহ্মাবিষ্ণু (আদিকাণ্ড অনুসারে রাম যাঁর অবতার) বৈদিক দেবতা ছিলেন না। খ্রিষ্টীয় প্রথম সহস্রাব্দের শেষভাগে 'পৌরাণিক' যুগে তাঁরা ভারতীয় জনসমাজে বিশেষ গুরুত্ব অর্জন করেন। মহাভারত গ্রন্থে রামোপাখ্যান নামে রামায়ণের একটি সারাংশ সংযোজিত হয়েছে; যুধিষ্ঠিরের নিকট কথিত এই উপাখ্যানে রামের চরিত্রে কোনো দেবত্ব আরোপ করা হয়নি।[১৬]

গবেষকেরা মনে করেন, রামায়ণের প্রথম পর্ব আদিকাণ্ড ও শেষ পর্ব উত্তরকাণ্ড পরবর্তীকালের সংযোজন। দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ কাণ্ড পর্যন্ত মহাকাব্যটিই প্রাচীন অংশ।[১৭] আদিকাণ্ডউত্তরকাণ্ড-এর লেখক বা লেখকবৃন্দ উত্তর ভারতের পূর্ব গাঙ্গেয় সমভূমি এবং ষোড়শ মহাজনপদের যুগের কোশলমগধ রাজ্যের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। কারণ উক্ত অংশে এই সকল অঞ্চল সম্পর্কে প্রদত্ত ভৌগোলিক ও ভূরাজনৈতিক তথ্য এই অঞ্চলের ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। যদিও অরণ্যকাণ্ড থেকে রাক্ষসবধকারী নায়ক ও নানাপ্রকার পৌরাণিক জীবজন্তুর উপস্থিতিতে সহসাই এই উপাখ্যান কল্পকাহিনিমূলক হয়ে পড়েছে। মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের ভৌগোলিক তথ্য এখানে অত্যন্ত অস্পষ্ট। লঙ্কা দ্বীপে ভৌগোলিক অবস্থানটিও স্পষ্ট করে বলা হয়নি।[১৮] এই সকল তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ঐতিহাসিক এইচ. ডি. সঙ্কলিয়া খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীকে এই মহাকাব্যের রচনাকাল বলে উল্লেখ করেন।[১৯] এ. এল. ব্যাসাম অবশ্য এই মত প্রকাশ করেছেন যে রাম সম্ভবত ছিলেন খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম অথবা সপ্তম শতাব্দীর এক ক্ষুদ্র গোষ্ঠীপতি।[২০]

[সম্পাদনা] চরিত্র

সীতার পার্শ্বে উপবিষ্ট রাম, পশ্চাতে লক্ষ্মণ, ভরতশত্রুঘ্ন দণ্ডায়মান; সম্মুখে হনুমান ও অন্যান্য বানরেরা প্রণাম জানাচ্ছেন।
  • রাম – এই উপাখ্যানের নায়ক। বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রাম ছিলেন রাজা দশরথ ও তাঁর জ্যৈষ্ঠা মহিষী কৌশল্যার জ্যৈষ্ঠ ও প্রিয়তম পুত্র। রামায়ণে রামকে মর্যাদা পুরুষোত্তম অর্থাৎ সর্বগুণের আধার বলে অভিহিত করা হয়েছে। দ্বিতীয়া স্ত্রী কৈকেয়ীর চক্রান্তে দশরথ রামকে চোদ্দো বছরের জন্য বনবাসে যাওয়ার নির্দেশ দিতে বাধ্য হন। রামও পিতার আজ্ঞা শিরোধার্য করে বনবাসে গমন করেন।
  • সীতা – রামের প্রিয়তমা পত্নী এবং রাজা জনকের পালিতা কন্যা। সীতার অপর নাম জানকী। তিনি বিষ্ণুপত্নী দেবী লক্ষ্মীর অবতার। রামায়ণে তাঁকে নারীজাতির আদর্শস্থানীয়া বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি স্বামীর সঙ্গে বনবাসে গমন করেন। রাবণ তাঁকে অপহরণ করে লঙ্কায় বন্দী করে রাখেন। রাম রাবণকে পরাজিত করে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীকালে তিনি রামের দুই যমজ পুত্র লবকুশের জন্ম দেন।
  • হনুমানকিষ্কিন্ধ্যা রাজ্যের এক বানর। তিনি শিবের (একাদশ রুদ্র) অবতার এবং রামের আদর্শ ভক্ত। তাঁর পিতা বানররাজ কেশরী ও মাতা অঞ্জনা। সীতার অবস্থান নির্ণয় ও উদ্ধার তথা লঙ্কার যুদ্ধে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন।
  • লক্ষ্মণ – রামের ভ্রাতা। তিনি স্বেচ্ছায় রাম ও সীতার সঙ্গে বনবাসে গমন করেন ও সেখানে তাঁদের রক্ষা করে চলেন। লক্ষ্মণ ছিলেন বিষ্ণুর সহচর শেষনাগের অবতার। মারীচের ছলনায় রামের বিপদাশঙ্কায় তিনি সীতাকে একাকী ফেলে যেতে বাধ্য হন। সেই সুযোগে রাবণ সীতাকে অপহরণ করেন।
  • রাবণলঙ্কার রাক্ষসরাজা। দশ হাজার বছর কঠোর তপস্যা করে তিনি সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার কাছ থেকে এই বর লাভ করেন যে কোনো দেব, দানব বা ভৌতিক জীব তাঁকে বধ করতে পারবেন না। তিনি ছিলেন এক শক্তিশালী রাক্ষসরাজা। ঋষিদের উপর অত্যাচার চালিয়ে করে তিনি বিশেষ আমোদ অনুভব করতেন। ব্রহ্মার বরদানকে এড়িয়ে তাঁকে হত্যা করার জন্য বিষ্ণুকে মানব রূপে জন্মগ্রহণ করতে হয়।
  • দশরথঅযোধ্যার রাজা ও রামের পিতা। তাঁর তিন পত্নী: কৌশল্যা, কৈকেয়ীসুমিত্রা এবং রাম ব্যতীত অপর তিন পুত্র: ভরত, লক্ষ্মণশত্রুঘ্ন। দশরথের প্রিয়তমা পত্নী কৈকেয়ী তাঁকে বাধ্য করেন রামকে চোদ্দো বছরের জন্য বনবাসে পাঠিয়ে ভরতকে যুবরাজ ঘোষণা করতে। রাম বনে গেলে পুত্রশোকে দশরথের মৃত্যু হয়।
  • ভরত – দশরথের পুত্র। যখন তিনি জানতে পারেন যে রামকে বনে পাঠানোর প্রধান চক্রী তাঁর মা এবং তাঁরই জন্য পুত্রশোকে পিতার মৃত্যু হয়েছে, তখন তিনি ঘৃণাভরে রাজপদ প্রত্যাখ্যান করে রামের অনুসন্ধানে বাহির হন। কিন্তু রাম প্রত্যাবর্তনে অসম্মত হলে, তিনি রামের খড়ম দুখানি চেয়ে নেন। সেই খড়ম দুটি সিংহাসনে স্থাপন করে পরবর্তী চোদ্দো বছর রামের নামে অযোধ্যা শাসন করেছিলেন ভরত।
  • শত্রুঘ্ন – দশরথ ও সুমিত্রার পুত্র। তিনি রামের কনিষ্ঠ ও লক্ষ্মণের যমজ ভ্রাতা।

[সম্পাদনা] আখ্যানবস্তু

রামায়ণ সাতটি কাণ্ড বা খণ্ডে বিভক্ত। যথা: আদিকাণ্ড বা বালকাণ্ড, অযোধ্যাকাণ্ড, অরণ্যকাণ্ড, কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড, সুন্দরকাণ্ড, লঙ্কাকাণ্ড বা যুদ্ধকাণ্ড

HTML Comment Box is loading comments...

free counters
Back

Search site

পরিচালনায়- নাজমুল হাসান >>>> সম্পাদনায়-আরাফাত রহমান রানা

obj=new Object;obj.clockfile="5031-blue.swf";obj.TimeZone="GMT0600";obj.width=145;obj.height=50;obj.wmode="transparent";showClock(obj);