হৃদয়ের টানে ছুটে চলি আমরা......

শশারকান্দা গ্রামে ঘটে এক হৃদয় বিদারক নির্মম ঘটনা

19/04/2011 12:50

শশারকান্দা গ্রামে ঘটে এক হৃদয় বিদারক নির্মম ঘটনা

 (আরাফাত রানা ) ১৮-০৪-২০১১ইং

আমরা মানুষ , আর মানুষ বলেই তো আমাদের আছে বিবেক, আছে মন, আছে ভালবাসা। আমরা তাইত সৃষ্টির সেরা জীব। নয়তো একটু ভাবুন তো প্রান তো অন্যান্য জীব জন্তুর মাঝেও সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন,কিন্তু দিয়েছেন কি তাদের মাঝে বিবেক বুদ্ধি আর প্রেম। এইতো আমাদের অহংকার আমরা সৃষ্টির সেরা জীব আমরা মানুষ।                                                                    আর যখন আমরা তার বিপরীত করি... বিবেক থাকতেও বিবেচনা করিনা, বুদ্ধি থাকতেও ভাবিনা, মন থাকতেও ভালবাসতে পারিনা। তখন, তখন পশুর চাইতেও কি আমরা নিকৃষ্ট নই??         গতকাল আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রাম... শাল্লা থানার ১নং আঁটগাও ইউনিয়নের শশারকান্দা গ্রামে ঘটে এক হৃদয় বিদারক নির্মম ঘটনা। এই ১৪১৮ সালের শুরুর হয়ত এটাই সবচাইতে নির্মম , নিকৃষ্ট ঘটনা।                                                                                                                                                                                                                                                                                   ১০ থেকে ১২ বছর বয়েসি এক শিশু অভাবের তারনায় অন্য বাড়িতে রাখালের কাজ করত। সন্ধ্যা বেলায় হাওরের কাজ শেষে বাড়িতেও চলে আসে, মা তার জন্য ভাত নিয়ে ডাকল "খোকা আয় বাবা ভাত খাবি " হঠাৎ তার মনে পরল জমিতে গরু বাঁধার দড়ি ফেলে এসেছে। ছুটে চলল খোকা দড়ির সন্ধানে । পিছনে তার মা ডাকতে লাগল "ভাত খেয়ে তর বাবা কে সাথে নিয়ে যা"    কিন্তু এই বালাই শিশু মার কথা না শুনে ছুটে গেল জমিতে। আই যাওয়াই যে তার শেষ যাওয়া সেকি জানতো ? আর ফিরে এলনা লাশ হয়ে পরে রইল জমিতে। কে বা কাহারা তার হাত পা ভেঙ্গে শেষে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে গলাটা আলাদা করে দিল দেহ থেকে। জমিতে ফেলে রেখে দিল তার দেহ খানি। কি অপরাদ ছিল এই শিশুটির , কি এমন দোষ ছিল তার , যার প্রতিফলন দিতে হল জীবন দিয়ে। এই ১০ বছর বয়সে সে কার শত্রু হল, কিংবা কারাই তার শত্রু হল । আজ সবার মুখে এই প্রশ্ন?? এমন নিষ্পাপ শিশুর কি কোন শত্রু থাকতে পারে নাকি কারও শত্রু হতে পারে। হায় ! আমরা কি মানুষ নাকি অন্য কিছু। যে শিশুটি ভাল করে নিঃশ্বাস নিতে পারলনা এই পৃথিবীর কিছু বিবেক বুদ্ধিহীন জানোয়ার বাঁচতে দিলনা থাকে।

পাঠকগন আমি আর লিখতে পারছিনা আমার মনটা খারাপ হয়ে আছে ।                                                                                                                                                                                   ছেলেটির বাবা রাতেই খুজতে বেড়িয়েছে সারা রাত খুজেও পায়নি। সকালের আলোয় ফুটে উঠল প্রিয় সন্তানের লাশ। মা পাগল প্রায় ভাত হাতে এখন ডাকছে । চোখ বেয়ে আমার অশ্রু চলে এল। দৃশ্য দেখে ছেলেটির ছবি তুলতে সাহস পাইনি। ধান কাঠার কাঁচি দিয়ে গলা কাটা সামান্য লেগে আছে চামড়া।          ঘটনা স্থলে চলে আসেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসন। লাশ সুনামগঞ্জে পোস্ট মঠাম এর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে সারা এলাকাবাসী উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলছে দফায় দফায় মিটিং সবারই এক কথা দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।  এবং দ্রুত বিচারদাবী করে স্থানীয় শাল্লা থানায় মামলা করা হয়। পাঠকগন আমরাও চাই দোষীদের শাস্তি । যেন দ্বিতিয় বার আর এমন কচি প্রান হারাতে না হয়। যার সামান্য আয়ে চলত অভাবের সংসার , সেই ছেলেটির প্রান যারা কেড়ে নিল আমরা তাদের ফাঁসী চাই...।

   

HTML Comment Box is loading comments...

free counters
Back

Search site

পরিচালনায়- নাজমুল হাসান >>>> সম্পাদনায়-আরাফাত রহমান রানা

obj=new Object;obj.clockfile="5031-blue.swf";obj.TimeZone="GMT0600";obj.width=145;obj.height=50;obj.wmode="transparent";showClock(obj);