হৃদয়ের টানে ছুটে চলি আমরা......

জেলাসমূহের নামকরণ

30/05/2011 03:01

 

undefined

সব কিছুর নামকরণের একটা বিশেষ কারণ থাকে বা বিশেষ কোন পরিস্থিতির কারনেই কোন স্থান, কাল বা পাত্রের নামকরণ করা হয়। বিভিন্ন জেলার নামকরণ কিভাবে হলো, তার প্রচলিত ধারণাগুলো নিচে দেয়ার চেষ্টা করলাম। এ পর্বে দেখুন-

ঢাকাঃ বল্লাল সেন কতৃক নির্মিত ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে ঢাকা নামের উৎপত্তি। অনেকে আবার বলেন ১৬১০ সালে ইসলাম খাঁ বুড়িগঙ্গার কাছে ঢাক বাজিয়ে যতদুর পর্যন্ত শোনা যায় ততদুর পর্যন্ত সীমানা নির্ধারন করে ওই এলাকার রাজধানী বানান, সেই এলাকাই ’ঢাকা’ নামে পরিচিত। ঢাক নামক গাছ থেকে ঢাকা নামের উৎপত্তি বলেও কেউ কেউ মনে করেন।

নারায়ণগঞ্জঃ হিন্দু ধর্মীয় দেবতা নারায়ণ ঠাকুরের নামানুসারে নারায়ণগঞ্জ নামকরন হয়।

মুন্সীগঞ্জঃ মোঘল আমলে এখানে একটা কেল্লা ছিল। এই কেল্লার নাম ইদ্রাকপুর কেল্লা। কেল্লার নামানুসারে এই এলাকার নামকরণ হয় ইন্দ্রাকপুর। উনবিংশ মতকের শুরুতে এটি রামপালের মুন্সি এনায়েত আলী সাহেবের জমিদারিভুক্ত হয়। পরে নামকরণ হয় মুন্সীগঞ্জ।

মানিকগঞ্জঃ মানিকগঞ্জ জেলার নামকরণের পেছনে তিনজনের নামের তথ্য পাওয়া যায়। এরা হলেন- সুফি সাধক মানিক শাহ্, দুর্ধর্ষ পাঠান সরদার মানিক ঠালী এবং নবাব সিরাজউদৌলার বিশ্বাষঘাতক অমাত্য মানিক চাঁদ। এদের যে কোন একজনের নামানুসারে মানিকঞ্জের নামকরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

গাজীপুরঃ দিল্লির সম্রাট মুহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে পালোয়ান গাজী নামক জনৈক মুসলিম বীর এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। পরবর্তী সময়ে পালোয়ান গাজীর নামানুসারে এই এলাকার নাম হয় গাজীপুর।

রাজবাড়ীঃ মোঘল আমলের জমিদার রাজা সূর্যকুমারের নাম অনুসারে রাজবাড়ী নামকরণ হয়েছে।

টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইল শব্দটি টাঙ্গাই শব্দ থেকে উৎপত্তি। এ অঞ্চলে মোকলা স¤প্রদায় নামে একটি গোষ্টি বাস করত। এ মোকলা স¤প্রদায়ের সর্দারকে বলা হতো টাঙ্গাই। এ টাঙ্গাইয়ের নামানুসারে টাঙ্গাইল নাম হয়েছে।

নরসিংদীঃ রাজা নরসিংহের নামানুসারে নামকরণ হয় নরসিংদী।

মাদারীপুরঃ হযরত বদর উদ্দিন শাহ মাদারের(রহঃ) নামানুসারে নামকরণ হয় মাদারীপুর।

শরীয়তপুরঃ হাজী শরীয়তউল্লাহর নামানুসারে নামকরণ হয় শরীয়তপুর।

ফরিদপুরঃ প্রাচীন নাম ফতেহবাদ। কামেল পীর শেখ ফরিদের নাম অনুসারে ফরিদপুর নামকরণ হয়েছে।

গোপালগঞ্জঃ দক্ষিনেশ্বরের রানী রাসমনির নাতি গোপালের নামানুসারে নামকরণ হয় গোপালগঞ্জ।

ময়মনসিংহঃ প্রাচীন নাম মোমেনশাহী এবং নাছিরাবাদ। এ জেলাকে নিয়ে প্রচলিত ছড়া হল, হাওর, বাওর, মহিষের শিং, এই তিনে ময়মনসিংহ। একদা এ অঞ্চলে প্রচুর মহিষ ছিল। মহিষের শিং থেকে মোমেন শাহী আর এ থেকেই ময়মনসিংহ। আবার কেউ কেউ বলেন মোমেন শাহ পীরের নাম থেকে মোমেনশাহী হয়েছে।

জামালপুরঃ হযরত শাহ জামাল (রহ.) নামানুসারে নামকরণ করা হয় জামালপুর।

নেত্রকোনাঃ নদীর বাঁকটি নেত্রের কোণের মতো এবং মগরা নদী পরিবেষ্টিত স্থানটি চোখের কোণের সাদৃশ্য থাকার কারনে নাম হয়েছে নেত্রকোনা ।

কিশোরগঞ্জঃ মসলিন কারিগর কৃষ্ঞ দাশ বসাকের সাত পুত্রের মধ্যে তিন জনের নাম হলো বজ্র কিশোর বসাক, কিশোর মোহন বসাক ও নন্দ কিশোর বসাক। এদের তিন জনের নামের অংশ নিয়েই কিশোরগঞ্জ গ্রামের উৎপত্তি।

undefined


সব কিছুর নামকরণের একটা বিশেষ কারণ থাকে বা বিশেষ কোন পরিস্থিতির কারনেই কোন স্থান, কাল বা পাত্রের নামকরন করা হয়। বিভিন্ন জেলার নামকরণ কিভাবে হলো, তার প্রচলিত ধারণাগুলো নিচে দেয়ার চেষ্টা করলাম। এ পর্বে দেখুন-

চট্টগ্রামঃ অনেকের মতে চীনের রাজকীয় দলিলে চট্টগ্রামকে বলা হয়েছে চাঠিকার। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকের শেষ দিকে চীনা পর্যটক ইচিং বৌদ্ধ ধর্মীয় জ্ঞান আহরনের জন্য এখানে আসার পর থেকে চট্টগ্রাম নাম শুরু হয়। এর প্রাচীন নাম ছিল ইসলামাবাদ।

কক্সবাজারঃ ক্যাপ্টেন হীরন কক্স এর নাম থেকে কক্সবাজার নাম হয়।

খাগড়াছড়িঃ অসংখ্য খাগড়া গাছ ছিল ছড়ার তীরে। এই খাগড়া গাছ আর ছড়া থেকে নাম হয়েছে খাগড়াছড়ি।

বান্দরবানঃ অসংখ্য বানর শঙ্খ নদী পার হতো। এ দৃশ্য দেখতে বাঁধের মত মনে হতো। এ থেকে নাম হয়েছে বান্দরবান।

রাঙ্গামাটিঃ মৃত্তিকার রং রক্তিম বা রাঙ্গা হওয়ার কারনে নাম হয়েছে রাঙ্গামাটি।

ফেনীঃ ফনী রাজার নামানুসারে ফনী, পরে ফেনী নাম হয়েছে। অন্য মতে মৌর্য বংশের শাসনামলে চীনা পর্যটক ফাহিয়েন ভারত সফরের এক পর্যায়ে এখানে একদিন অবস্থান করেন। পওে ফাহিয়ানের নামানুসারে কালক্রমে ফাহিয়ানী থেকে ফেনী নামকরণ হয়।

কুমিল্লাঃ কমলান্ক নগর থেকে কুমিল্লা নামের উৎপত্তি। অনেকে মনে করেন কুমিল্লা নামের একজন মুসলিম সেনা নায়কের নামানুসারে কুমিল্লা নামকরণ হয়।

চাঁদপুরঃ জমিদার চাঁদ রায়ের নাম থেকেই চাঁদপুরের উৎপত্তি। কেউ বলেন দরবেশ চাঁদ ফকিরের নামানুসারে চাঁদপুর হয়েছে।

লক্ষীপুরঃ রাজা লক্ষী নারায়ণের নাম অনুসারে লক্ষীপুর নামকরণ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ সেন বংশের রাজত্বকালে এ এলাকায় কোন ব্রাহ্মণ না থাকায় রাজা লক্ষণ সেন কয়েকটি ব্রাহ্মণ পরিবার এ এলাকায় পাঠান। এই ব্রাহ্মণদের বাড়ি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের উৎপত্তি।

নোয়াখালীঃ প্রচীন নাম ভুলুয়া। ভুলুয়া নদীতে চলে যাওয়ার কারনে চর জাগে। সেখানে নতুন খাল খনন করলে নাম হয় নোয়াখালী।

রাজশাহীঃ মুর্শিদকুলী খানের সময়ে এক ব্রাহ্মণ জমিদার রাজস্ব আদায় করতেন। তাকে রাজা উপাধি প্রদান করা হয়েছিল। এ রাজার রাজ এবং বাদশাহীর ’শাহী’ নাম যুক্ত হয়েই রাজশাহী নামটি হয়েছে।

পাবনাঃ বিখ্যাত পুন্ড্রবর্ধনের নাম থেকে পাবনা নামের উৎপত্তি। আবার কেউ কেউ মনে করেন. দুর্ধর্ষ ডাকাতের নামানুসারে এই এলাকার নাম পাবনা হয়।

সিরাজগঞ্জঃ নবাবী আমলে জমিদার সিরাজ চৌধুরীর নামানুসারে সিরাজগঞ্জ নামকরণ হয়।

বগুড়াঃ সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের পুত্র বগরা খানের নামানুসারে বগুড়া নামকরণ হয়। বগরা খান ছিলেন স্বাধীন বঙ্গের শাসনকর্তা।

নাটোরঃ কয়েকজন বালিকার নৃত্য থেকে নাট্যপুর। পর্যায়ক্রমে নাট্যপুর, নাট্রর থেকে অবশেষে নাটোর

HTML Comment Box is loading comments...

free counters
Back

Search site

পরিচালনায়- নাজমুল হাসান >>>> সম্পাদনায়-আরাফাত রহমান রানা

obj=new Object;obj.clockfile="5031-blue.swf";obj.TimeZone="GMT0600";obj.width=145;obj.height=50;obj.wmode="transparent";showClock(obj);